প্রকাশিত: Sun, Mar 10, 2024 12:08 PM
আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 1:38 AM

[১]বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনে সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনার তাগিদ

সুজন কৈরী: [২] বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) পাঁচ দিনের সীমান্ত সম্মেলন শনিবার যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। 

[৩] যৌথ আলোচনার দলিলে তারা উভয়পক্ষের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও যৌথ প্রচেষ্টায় সন্তোষ প্রকাশসহ উভয় বাহিনী সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি) বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।

[৪] বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী নিতিন আগ্রাওয়ালের নেতৃত্বে ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও যৌথ নদী কমিশনের প্রতিনিধিসহ ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল।

[৫] সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে বিজিবি মহাপরিচালক ভারতীয় প্রতিনিধিদলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এই সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্ত হত্যার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এটিকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বিএসএফ মহাপরিচালকের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি সীমান্ত হত্যার পাশাপাশি মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান, মানব পাচার, অবৈধ সীমান্ত পারাপার এবং সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং এসব অপরাধ দমনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে বিএসএফের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

[৬] উষ্ণ অভ্যর্থনা ও আন্তরিক আতিথেয়তার জন্য বিজিবি মহাপরিচালককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বিএসএফ মহাপরিচালক গত ২২ জানুয়ারি সিপাহি মো. রইশুদ্দিনের নিহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বিএসএফের পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জানান। তিনি সাম্প্রতিককালে ভারতের সিকিমে আকস্মিক বন্যায় ভেসে আসা মৃত ভারতীয় সৈনিকদের মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়া এবং সহানুভূতিশীল আন্তরিকতার জন্য বিজিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সীমান্তে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিজিবি ও বিএসএফের যৌথ প্রচেষ্টায় সন্তোষ প্রকাশ করে উভয় বাহিনী সিবিএমপি কার্যকর বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।

[৬] সম্মেলনে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সেগুলো হলো ২০২২ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ বিবৃতির চেতনাকে সমুন্নত রেখে সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা, আহত, মারধরের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অধিক সতর্কতামূলক ও কার্যকরী উদ্যোগ হিসেবে সীমান্তে যৌথটহল পরিচালনা জোরদারের বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়। এছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় উন্নয়নমূলক কর্মসূচি জোরদার করা এবং সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের মাঝে আন্তর্জাতিক সীমানা আইনের বিধি-বিধান সম্পর্কে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের ব্যাপারে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।সম্পাদনা:সমর চক্রবর্তী